এ মাসেই ঘটে গেল 'সাগর-রুনির' চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মত লোমহর্ষক ঘটনা। একে তো সাংবাদিক দম্পতি, তার উপরে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজেই এই মামলার দায় ঘাড়ে নিলেন। এখন শুনছি প্রধানমন্ত্রীও নাকি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছেন। (৩য় পৃষ্ঠায়- তদন্ত নিয়ে নীরব পুলিশ কর্তকর্তারা'!!?) শুধু তাই নয়, 'সাগর-রুনির' এতিম শিশুটির সব দায়িত্বও তিনি কাধে তুলে নিলেন। খুবই ভাল কথা। যারা অন্তর থেকে এরূপ মানবিক কর্ম করেন, মহান আল্লাহতায়ালা তাকে ভালবাসেন। তাই দেশ-নেত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে খাট করতে চাই না। এভাবে সব অভাগার পাশে থাকার মত ক্ষমতা ও সদিচ্ছা যেন অটুট থাকে সেই কামনাই করি।
আটচল্লিশ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া বা অতিবাহিত হওয়া বড় কথা নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে আসল খুনীকে খুঁজে বের করে সাজা দিলেই জনগণ খুশী হবে। তবে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের আচমকা নীরবতায় ইতিমধ্যেই জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু বিশেষ মহলও আশ্চার্যান্বিত মনোভাব পোষণ করেছেন। এই নীরবতা যদি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হয়ে থাকে, তাহলে তো ভালই হয়। কিন্তু উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভাই সবারই খবর আছে।
আজ ১৯/০২/২০১২ তারিখে 'নয়া দিগন্ত' পত্রিকায় 'পিরোজপুরে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা' শিরোনামে ধর্ষন ও জোড়া খুনের ঘটনা প্রকাশিত হয়। পিরোজপুর ও কাউখালী সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সুন্দর গ্রামে গত ১৭/০২/২০১২ তারিখ (শুক্রবার) রাতে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করেছে গৃহবধূ শিউলী বেগম (৩০) ও তার মেয়ে সুমনাকে (১১)। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, গৃহবধূ শিউলী বেগমকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটি তাদের (খুনিদের) বাধা হওয়ায় তাকেও হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার গৃহবধূর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে নেছারাবাদ থানায় শাহিন নামে একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সাত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অভিযুক্ত শাহিনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি জেলার কাউখালী উপজেলায়। সে পেশায় একজন ফেরিওয়ালা।
গতকাল ১৮/০২/২০১২ তারিখে 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' পত্রিকায় 'স্ত্রীর পরকীয়ার বলি এনজিও কর্মকর্তা' শিরোনামে (শেষ পৃষ্ঠায়) একটি খবর প্রকাশিত হয়। প্রেমিক গাড়িচালকের সহায়তায় স্বামীকে খুন করালো পরকীয়ায় আসক্ত স্তী। জনৈক 'আবুল কাশেম' কি ভেবেছিলেন যে তার স্ত্রী- 'লাইজু' এমনটি করতে পারেন? এই পৈশাচিক কাজে ডাইনী স্ত্রী পঞ্চাশ হাজার টাকায় খুনীকে ভাড়া করে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই খুনী 'কামরুল হাসান' এমনই এক ব্যক্তি যে নাকি ফরিদপুরের একটি মসজিদের ইমাম ছিল।
হায়রে! মুসলিমদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ চরিত্রের মানুষটিকেই ইমাম হিসেবে মনোনীত করার কথা। কিন্তু এই ইমাম এমনই এক সর্বনিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়েছে যে, পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে তার স্বামীকে খুন করতেও যার হাত কাঁপেনি। কতটা পাষাণ হলে এরূপ অমানবিক কাজ করা সম্ভব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন আসতেই পারে- এই ইমাম কি আল-কোরআনের বাণী পাঠ করে নাই? মানুষের মধ্যে যারা অন্ধ ও বধির তারা দেখতে বা শুনতে না পারলেও অনুভূতি শক্তি বেশি থাকে। তাদের অন্তর খুবই সেন্সেটিভ হয় এবং অনুধাবন করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা অনেক কিছুই বুঝে নিতে পারেন। কিন্তু স্বাভাবিক চোখ-কান থাকার পরও অনেকে দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না। এরাই সেই ব্যক্তি যাদের বাহ্যিক দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি থাকা সত্বেও বোধের উন্মেষ না হওয়ায় আল-কোরআনে তাদেরকে নিকৃষ্টতম অন্ধ ও বধির হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সূরা আল-আনফাল (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৮:২১) অর্থ- আর তাদের মত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনলাম, অথচ তারা শোনে না।
(০৮:২২) অর্থ- প্রকৃতপক্ষে সমস্ত প্রাণীর মধ্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট নিকৃষ্টতম মূক ও বধির তারাই- যারা উপলদ্ধি করে না।
প্রকৃত অর্থে এরূপ ব্যক্তির অন্তরটাই অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে অর্থাৎ মরে গেছে। কিন্তু কোন মুমীনের চরিত্র কি এরূপ হওয়ার কথা?
নেতা অর্থাৎ ইমাম তো বটেই, আল কোরআনের বক্তব্য অনুসারে প্রকৃত মুমীনের চরিত্র-
সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:০৩) অর্থ- যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
(০২:০৪) অর্থ- এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর পরকালকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।
(০২:০৫) অর্থ- তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
(০২:১৩৫) অর্থ- তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
(০২:১৩৬) অর্থ- তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুহের উপর। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণকারী।
(০২:১৭৭) অর্থ- সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
(০২:২৫৭) অর্থ- যারা বিশ্বাস করে, তাদের অভিভাবক আল্লাহ। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা অবিশ্বাস/অস্বীকার করে, বিভ্রান্তকারীরা (তাগুত) তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।
(০২:২৮৫) অর্থ- রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলিমরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
সূরা আল- ইমরান (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৩:১৩৪) অর্থ- যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকেই ভালবাসেন।
(০৩:১৩৫) অর্থ- তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।
(০৩:১৯০) অর্থ- নিশ্চয় আকাশমন্ডলী ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
(০৩:১৯১) অর্থ- যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে এবং (বলে) হে পালনকর্তা! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদেরকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।
সূরা আল মায়েদাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৫:৩৫) অর্থ- হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষণ কর এবং তাঁর পথে চেষ্টা-সাধনা (জিহাদ) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
সূরা আল-আনফাল (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৮:০২) অর্থ- যারা বিশ্বাসী, তারা এমন যে, আল্লাহকে স্মরণ করার সময় ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাঁর আয়াত তাদের সামনে পাঠ করা হয়, তখন তাদের বিশ্বাস বেড়ে যায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে।
(০৮:০৩) অর্থ- যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, তারাই প্রকৃত বিশ্বাসী।
(০৮:০৪) অর্থ- তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় প্রতিপালকের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা।
(০৮:২০) অর্থ- হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর এবং তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না যখন তোমরা তাকে (তার কথা) শুনতে পাও।
সূরা আত তাওবাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৯:২০) অর্থ- যারা বিশ্বাস করে, দেশ ত্যাগ করে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে চেষ্টা-সাধনা করে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম।
(০৯:২৩) অর্থ- হে বিশ্বাসীরা! তোমাদের পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা বিশ্বাস অপেক্ষা অবিশ্বাস করাকে পছন্দ করে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী।
(০৯:৭১) অর্থ- আর বিশ্বাসী পুরুষ এবং বিশ্বাসী নারীরা পরস্পরের প্রতি সহায়ক/সন্ধিবদ্ধ। তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মেনে চলে। এদেরই উপর আল্লাহতায়ালা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।
সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৪:৬৪) বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তার অনুসরণ করা হয়। যখন তারা নিজেদের উপর জুলুম করেছিল, তখন যদি তোমার কাছে আসত এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইত, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম-দয়ালু রূপেই পেত।
সূরা আল মু'মিনুন ( মক্কায় অবতীর্ণ)-
(২৩:০১) অর্থ- বিশ্বাসীরা সফলকাম হয়ে গেছে,
(২৩:০২) অর্থ- যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
(২৩:০৩) অর্থ- যারা অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে বিরত থাকে,
(২৩:০৪) অর্থ- যারা যাকাত দান করে থাকে
(২৩:০৫) অর্থ- এবং যারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে
(২৩:০৬) অর্থ- তবে নিজেদের দম্পতি অথবা ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ ) 'ডান হাতের অধিকারভুক্তদের' (যুদ্ধবন্দী-বন্দিনী/দাস-দাসীদের) ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তিরস্কৃত হবে না।
(২৩:০৭) অর্থ- অতএব, যারা এমনটি ছাড়া অন্য কিছু অন্বেষণ করে, তারাই সীমালংঘনকারী।
(২৩:০৮) অর্থ- এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে।
(২৩:০৯) অর্থ- এবং যারা তাদের নামাযসমূহে যত্নবান।
(২৩:১০) অর্থ- তারাই অধিকারী হবে।
(২৩:১০) অর্থ- অধিকারী হবে শীতল ছায়াময় উদ্যানের যাতে তারা চিরকাল থাকবে।
প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ব্যভিচার, ধর্ষন ও খুন সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তারা যেই হোক না কেন, তাদের ধরে উপযুক্ত শান্তির ব্যবস্থা করতেই হবে। মুখ বুজে সহ্য না করে, এসব অমানবিক কর্মের বিরুদ্ধে সবাইকেই সোচ্চার হতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বোধ সম্পন্ন সকল স্তরের জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে আল্লাহতায়ালার গজবের হাত থেকে কারও নিস্তার নেই।